গত কয়েকদিন ধ’রে অবিরাম শুনছি, “জীবনে যত পূজা হল না সারা”, শ্রীমতী মায়া সেনের কণ্ঠে। বুঝছি না ঠিক, কেন বারবার শুনছি? না আছে, কঠিন অলংকারের খেলা, না আছে, এক স্বর থেকে আর এক স্বরে ঘোরাফেরা করার কারুকাজ। কী আছে এই গানে? জানি না।
আমার সবসময়ের সঙ্গী Google-কে জিগ্যেস করতে গিয়ে, জিগ্যেস করাটাই হলো না। Google লেখাটার চার পাশে, চোখটা গেল আটকে। এতটা সাদা, কেন? কতকিছু জানা যায় Google-এ, দেখতে কেন এমন সাদামাটা! জানি না।
সকালে খেতে বসেও একই গান শুনছি। ভাবছি, শৈশবে অভাবের সংসারে যা খেতাম, এখনো তাই খাচ্ছি কেন? আর একটু বেশী কিছু খেলে হতো না! আরও অনেক কিছু খেলে হতো না! জানি না।
খবরের কাগজটা হাতে নিয়ে দেখি, কত খবর। কত কিছু জানার আছে।একটু পরেই তো সকালের খাবারে কে কি খেলো, আপডেট আসবে।সেই একই গান বেজেই চলেছে, এখনো। এত খবর জানতে ইচ্ছে করছে না! এত মানুষ সকালে কে কি খেলো, পড়তে ইচ্ছে করছে না! কেন ইচ্ছে করছে না? জানি না।
গানটা শুনতে শুনতে, গানটা কি গাইতে ইচ্ছে করছে? দেখি, হারমোনিয়ামের সামনে বসলাম। গলাটা দিই। থামতে পারছি না। ইচ্ছে করছে, আরও একবার গাই। দেখি জয়তী এসে, বসেছে। গাইছে, একই সঙ্গে। কতদিন পরে, এক সঙ্গে গাইছি! গেয়েই চলেছি দুজনে!
গীতবিতানের অক্ষর পেরিয়ে, রবীন্দ্রনাথ ছাড়িয়ে, যাত্রা অন্য কোথাও!
“জীবনে যত পূজা হল না সারা, জানি হে জানি তাও হয় নি হারা।”