গ্লানিমুক্তির ভায়োলিন, চোখের জলের দরবারি কানাড়া

“কি রে, এতো রাতে যাচ্ছিস কোথায় তোরা? বাংলার ঠেক তো বন্ধ হয়ে গেছে!” আমার প্রশ্ন। 

“গড়িয়াহাট!”

“কেনো? কি করতে?”

“কাঁদতে!”

সময়টা নব্বই-এর দশকের গোড়ায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোষ্টেল। জানুয়ারীর রাত। জনা চারেক ছেলে হইহই করে বেরিয়ে গেল, কোনো এক খান সাহেবের কণ্ঠে দরবারি কানাড়া শুনতে, ডোভার লেনে।

আমি একাকী বসে মাঝরাতে কঠিন অঙ্কের উত্তর মেলানোর চেষ্টায় ঘুমহীন!

 

সময়টা এবার তিরিশটা বছর পেরিয়ে। নিউ জার্সির মধ্য ডিসেম্বর। গৃহবন্দী বছরের শীত, অবসন্ন সন্ধ্যে, অঝোরে বরফ পড়ছে। জোরে বাজছে সিম্ফনি, বিঠোফেনের জন্মদিন। 

কি মনে হল, সন্ধ্যের বরফ পড়ার সৌন্দর্য video করে পাঠিয়ে দিলাম ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের। অসতর্ক রেকর্ডিঙের background -এ সিম্ফনি সমেত। 

ক্ষণিক পরেই পেলাম একটি YouTube লিঙ্ক , ক্যাঙারুর দেশ থেকে। এক পারিবারিক বন্ধুর message।

সেদিন সারারাত ঝাপসা চোখে গ্লানিমুক্তির দরবারি কানাড়া, শিশিরকণা ধরচৌধুরীর বেহালায়

জীবনের সমস্ত ভুল অঙ্কের উত্তরের দিশা নিয়ে!