স্বামী বিবেকানন্দর সঙ্গে একটা দিন

একদম সকালেই পৌঁছে গেলাম। ভীড় হওয়ার আগেই। Greetings exchange করেই ডেকে নিলেন আমাদের, শ্বেতশুভ্র সৌম্যকান্তি আলখাল্লা পরিহিত, প্রবীণ এক আমেরিকান সাহেব।

জায়গাটা ঘণ্টা দু’য়েকের ড্রাইভ। পাহাড়ী Upstate New York-এর এক উপত্যকা। নয়নাভিরাম। সবুজ ঘাসে ঢাকা, চারপাশে গাছের সারি, কিছু বাড়ি এদিক ওদিক। স্বামীজী তিনবার এসেছিলেন এখানে। উনচল্লিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে, যোগাযোগের অসুবিধে সত্ত্বেও, এই দূর উপত্যকায় তিনবার আসা, সত্যিই কল্পনার বাইরে।

মৃদু স্বরে বলে চললেন ধীর শান্ত এই মানুষটি। স্বামীজীর জীবনের অজানা সব কথা। তিনবার ভ্রমণের বিশদ বৃত্তান্ত। আর কিভাবেই বা তৈরী হলো বিবেকানন্দ চর্চার এই কেন্দ্রটি। ওনার ব্যক্তিগত জীবনে, জীবনবোধের কতটা জুড়ে স্বামীজী আজও, সেটাও জানলাম।

দর্শন করলাম কালীমূর্তি। শিহরিত হলাম স্বামীজীর ব্যবহৃত সব আসবাবপত্র স্পর্শ করে। হলুদ হয়ে যাওয়া সাদাকালো ফোটোগ্রাফেও উজ্জ্বল স্বামীজীকে দেখে, নতমস্তক আমি। অন্যমনস্ক।

ফেরার পথে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যেতেই, সাহেবী hug-এ বন্দী আমি। স্বামীজীর জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ আর এক মানুষের ছোঁয়ায়, এক মূর্খ ভারত-সন্তান, এই আমি, না ভেবে পারলাম না – সত্যিকারের মানুষ হওয়া বোধহয় আর হল না এবার!

www.ridgley.org