নতুন বছর

নতুন বছরের পয়লা দিনেই, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে, সূর্যোদয় দেখবো। ঠিক যেমনটা দেখতাম ছোটবেলায়, ছাদে উঠে। দিনের প্রথম সূর্যের রঙ, সেই রঙের হাল্কা ছোঁয়া আকাশজোড়া ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘে। এক আশ্চর্য ভাললাগা!

বাজার যাওয়ার সময়, গণশার মুদির দোকানের বছর ছয়-সাতের কাজের ছেলেটা, কি যেন নাম, ভুতোকে গাল টিপে আদর করে, একটা লজেন্স দেবো। বলব, আসিস দোকান বন্ধ হলে। অ-আ-ক-খ শেখাবো।

বাজারে গেলেই, সব্জিওলা পাঁচুর সঙ্গে লেগে যায়। কিছুতেই দাম কমাবে না। একটু ভাল ব্যবহার করবো আজ। অত জোর জবরদস্তি করব না। ওর মা-এর না কি ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এই সেদিন বলছিল। আমার তো যা হোক চলে যাচ্ছে। বড্ড কষ্ট ওদের!

বাজার থেকে ফেরার সময়, প্রত্যেক ছুটির দিনের মতো, আজও দুটো সিঙারা কিনবো। আমিই সিঙারা দুটো খাই। ভাবছি, আজ দুটো কম মিষ্টির কালাকাঁদও নেবো। গিন্নি বড্ড ভালবাসে কালাকাঁদ।

*

“বাবা, খেতে এসো, রাত হয়ে গেলে তো!”, ছেলের ডাকে ধড়ফড় করে উঠে বসলাম। কেমন একটা তন্দ্রা মতো এসে গেছলো। স্বপ্ন দেখলাম কি?

যা! জানা হল না তো আর কি কি resolution আমার দিনের বাকি সময়টায়!

ঘড়িতে দেখি রাত দশটা। স্বপ্নে পাওয়া resolution-গুলোর কোনটাই তো করা হয়ে ওঠে নি আজ সকাল থেকে!

“এসো তাড়াতাড়ি, কাল তো আবার অফিস”, সম্বিত ফিরলো এবার।

কাল আবার, আমার সমস্ত দুর্ভোগের দায়, পাশের বিভিন্ন মানুষদের ঘাড়ে চাপিয়ে, ধাবমান সেই পুরনো আমি একটু টিকে থাকার নেশায়!

নতুন বছর Read More »